১৫ নভেম্বর, ২০১০

সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্তরা ঈদুল আযহা উদযাপন করবে মঙ্গলবার

 সারা দেশের মানুষ আগামী বুধবার ঈদুল আযহা পালনের প্রস্তুতি নিলেও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্তরা জেলার প্রায় ৩০ গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপন করবে মঙ্গলবার। ১৫০ বছর ধরে এভাবেই রোজা রাখা, ঈদ পালন এবং হজের পরদিন মক্কার সাথে মিল রেখে পশু কোরবানী দিয়ে থাকে এসব মুরিদানরা। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা দেশে ঈদুল আযহা পালিত হবে ১৭ নভেম্বর এ নিয়ে আলেম সমাজ ও সুরেশ্বর দরবারের মুরিদানদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের খাদেম মো. মুনছুর আহম্মেদ ও আবদুল আলিম জানান, নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ জান শরীফ শাহ্‌ সুরেশ্বরী ওরফে মাওলানা আহম্মদ আলীর আমল থেকে এভাবে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। উপজেলার সুরেশ্বরের প্রায় ২০ হাজার মুরিদান মঙ্গলবার ঈদুল আযহা পালন করবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রেমতলা, নড়িয়া উপজেলার চন্ডিপুর, ঈছাপাশা, হালইসার, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। সুরেশ্বর গ্রামের আহম্মেদ আলী ও সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই নিয়মে ঈদ পালন করে আসছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম করিনা। সারা দেশে একই দিন ঈদ ও কোরবানী হওয়া উচিত।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর মাওলানা জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর বর্তমান গদিনশীন সৈয়দ শাহ্‌ সুফী বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী বলেন, হজের পরদিন সারা মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আযহা পালন করে থাকে। সে মোতাবেক ১৫০ বছর যাবত সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদানরা হজের পরদিন ঈদুল আযহা পালন করে থাকে। এবারও এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। (সূত্র: ইন্টারনেট)