১৩ ডিসেম্বর, ২০১০

১৯৯৪ সালের গল্প করেছিলেন ইউনুস ২০০৬ সালে

গ্রামীণব্যাংকের প্রথম ঋণগ্রহীতা সুফিয়া খাতুন বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা মানুষের কাছে ভিক্ষা পর্যন্ত করেছেন চিকিৎসার টাকা যোগাতে । সুফিয়া খাতুন যখন খুব অসুস্থ তখন তার চিকিৎসার জন্য গ্রামীণব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাহায্য চেয়েও পায়নি তার পরিবার। কারন ইউনুস সাহেব তো সাহায্য করেন না। টাকা দিয়ে টাকা তোলেন। এমনকি সুফিয়ার পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার চেষ্টা করেও ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। জোবরা গ্রামের সুফিয়া খাতুনের মেয়ে নুরুন্নাহার খাতুন জানান ‘আমার মাকে বাঁচানোর জন্য, চিকিৎসা করার জন্য মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে টাকা নিয়েছি। কিন্তু ইউনূস কোনো টাকা দেননি। তিনি নিজের বাড়ির কাজের ব্যস্ততার অজুহাত তুলে তার বাড়িতে যাওয়ার পরেও দেখা করেননি।’ সুফিয়া খাতুন মারা গেছেন ১৯৯৪ সালে, কিন্তু ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে সুফিয়ার দারিদ্র্যবিমোচনের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরা হয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দিন বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে, সুফিয়াকে এ পর্যায়ে নিয়ে আসার পুরো কৃতিত্ব গ্রামীণব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
ওই প্রতিবেদনে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ঋণগ্রহীতা সুফিয়া খাতুনের নাম উল্লেখ করা হয়। ততদিন সুফিয়া খাতুন এহলোক থেকে পরলোকে অবস্থান নিয়েছেন। সেইসঙ্গে ঋণ নিয়ে সুফিয়ার ভাগ্য পরিবর্তনের বিশাল অর্জন, সাফল্য, ফলাও করে প্রচার করা হয়। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিলো, সুফিয়া খাতুন ঋণ নিয়ে দোতলা বাড়ি করেছেন‍ (!) কিন্তু বাস্তবে কখনোই সুফিয়ার এমন অবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন জোবরা গ্রামবাসী। সরজমিন দেখা গেছে, বাড়িটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি কুড়ে ঘর। যে ঘরগুলিকে ইউনুস প্রতিবেদনে বানিয়েছিলেন দোতলা বাড়ি। (সূত্র: অনলাইন)