সময়কে হিসাব করার জন্য ১২০ বছর ধরে গ্রিনউইচ মিন টাইম বা
জিএমটিকে মানদণ্ড হিসাবে ধরা হচ্ছে। কিন্তু অধিকতর নিখুঁতভাবে সময় পরিমাপের জন্য বিজ্ঞানীদের বেশির
ভাগই এখন পৃথিবীর ঘূর্ণনের ভিত্তিতে নয় বরং আনবিক ঘড়ির ওপর নির্ভর করার
পক্ষাপাতি। আর এ
নিয়ে আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়
সময় বিজ্ঞানীরা। যদিও জিএমটিকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ব্রিটেন। এ সত্ত্বেও ২০১২ সালের জানুয়ারিতে জেনেভায় এই প্রস্তাব নিয়ে ভোট হবে, ভোটে যদি নতুন প্রস্তাব অনুমোদন পায় তাহলে জিএমটি সময় সময় নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি আর থাকবে না। সময়মান পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে ব্রিটেন-ফ্রান্সের
লড়াই শুরু হয়েছে। ব্রিটেন ভিত্তিক জিএমটি তাই ব্রিটিশরা তাদের
জাতীয় গৌরব বলেই মনে করে জিএমটি কে। ব্রিটিশদের অভিযোগ, জিএমটি পরিবর্তনের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে তাদের পুরনো শত্রু ফ্রান্স। সময়মান নির্ধারণে জিএমটিকে মানদণ্ড ধরা হয়েছে
সুর্যের গতিপথের ভিত্তিতে জিরো ডিগ্রি মধ্যরেখার ওপর নির্ভর করে যা
দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের গ্রিনউইচ মানমন্দিরে অবস্থিত। ১৮৮৪ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে একে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিলো।