আইএসএসের বাইরে ‘প্রাণের অস্তিত্ব’ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছেনআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) বাইরে প্রথমবারের মতো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার একদল গবেষক। তাঁরা বলছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থানরত আইএসএসের জানালার বাইরের উপরিতলে অণুজীবসদৃশ প্রাণের নমুনা পাওয়া গেছে। এগুলো বিকাশমান অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত, এ ধরনের অণুজীবের বসবাস সমুদ্রের পানিতে।
এদিকে, রাশিয়ার গবেষকদের ওই চমকপ্রদ দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। আর রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবিটি সত্য হয়ে থাকলেও, ওই অণুজীব কীভাবে আইএসএসের জানালায় পৌঁছাল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএসএসের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অংশের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ভ্লাদিমির সলোভইয়েভ দেশটির সংবাদ সংস্থা ইতার-তাসের কাছে দাবি করেন, আইএসএসের জানালার বাইরের অংশ থেকে প্ল্যাংকটন ও আণুবীক্ষণিক অণুজীব পাওয়া গেছে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।
তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) কর্মকর্তারা সলোভইয়েভের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। নাসার মুখপাত্র ড্যান হুওট স্পেস ডট কমকে বলেন, আইএসএসের বাইরে প্ল্যাংকটন ও অণুজীব পাওয়ার ব্যাপারে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
মহাকাশে ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনরত সাড়ে চার টন ওজনের আইএসএসের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে নাসা। অপর অংশটি নিয়ন্ত্রণ করে রসকসমস। রাশিয়ার দাবির ভিত্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও ড্যান হুওট স্বীকার করেন, রুশ মহাকাশচারীরা আইএসএসের জানালার বাইরে থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাঁদের (নাসার মহাকাশচারীদের) জানানো হয়, দৃষ্টি-সংবেদী পদার্থের ওপর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছুর খোঁজে জানালায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু পরে জানালার বাইরে সামুদ্রিক অণুজীব পাওয়ার বিষয়টি অস্পষ্ট।
এদিকে, রাশিয়ার গবেষকদের ওই চমকপ্রদ দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। আর রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবিটি সত্য হয়ে থাকলেও, ওই অণুজীব কীভাবে আইএসএসের জানালায় পৌঁছাল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএসএসের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অংশের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ভ্লাদিমির সলোভইয়েভ দেশটির সংবাদ সংস্থা ইতার-তাসের কাছে দাবি করেন, আইএসএসের জানালার বাইরের অংশ থেকে প্ল্যাংকটন ও আণুবীক্ষণিক অণুজীব পাওয়া গেছে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।
তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) কর্মকর্তারা সলোভইয়েভের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। নাসার মুখপাত্র ড্যান হুওট স্পেস ডট কমকে বলেন, আইএসএসের বাইরে প্ল্যাংকটন ও অণুজীব পাওয়ার ব্যাপারে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
মহাকাশে ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনরত সাড়ে চার টন ওজনের আইএসএসের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে নাসা। অপর অংশটি নিয়ন্ত্রণ করে রসকসমস। রাশিয়ার দাবির ভিত্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও ড্যান হুওট স্বীকার করেন, রুশ মহাকাশচারীরা আইএসএসের জানালার বাইরে থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাঁদের (নাসার মহাকাশচারীদের) জানানো হয়, দৃষ্টি-সংবেদী পদার্থের ওপর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছুর খোঁজে জানালায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু পরে জানালার বাইরে সামুদ্রিক অণুজীব পাওয়ার বিষয়টি অস্পষ্ট।
এদিকে, ইতার-তাস আইএসএসের জানালায় অণুজীব পাওয়ার কথা জানালেও মহাকাশের চরম প্রতিকূল পরিবেশে অণুজীবের টিকে থাকা ও বিকাশ সম্ভব কি না, তা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। মহাকাশ গবেষকদের মতে, আইএসএসের বাইরে মহাজাগতিক রশ্মির তেজস্ক্রিয়তা, জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো হিমশীতলতা ও শূন্য মাধ্যাকর্ষণে জীবের বৃদ্ধি অসম্ভব। মহাশূন্যে মহাজাগতিক রশ্মির তেজস্ত্রিয়তার পরিমাণ অনেক বেশি, মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন তেজস্ত্রিয়তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীর ওপরে পাঁচ থেকে দশ মাইল পর্যন্ত এলাকায় আণুবীক্ষণিক জীব বেঁচে থাকতে পারে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহাকাশে হয়তো কোনো বিশেষ ধরনের অণুজীবের টিকে থাকতে সক্ষম। তবে কীভাবে এটি টিকে থাকে তা নিশ্চিত নয়। রাশিয়ার দাবি সত্যি হলে বলতে হবে, হয়তো কোনোভাবে অণুজীবটি পৃথিবী থেকে মহাকাশের ওই স্থানে (আইএসএসের জানালায়) গেছে। পৃথিবী থেকে রসদ নিয়ে আইএসএসে যাওয়া কোনো মহাকাশযানের মাধ্যমে হয়তো ওই অণুজীব জানালায় গিয়ে পড়েছে। তবে সলোভইয়েভ মনে করেন, আইএসএস থেকে নির্গত বাতাসের মাধ্যমে হয়তো ওই অণুজীব জানালার কাচের বাইরে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে। ইনডিপেন্ডেন্ট।