মুক্তি পাওয়ার দুই দিন পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিপ্লবই তার লক্ষ্য।
সোমবার সুচি তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান কার্যালয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, একদিন বার্মায় গণতন্ত্র আসবেই। তবে সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে কতদিন লাগবে তা তিনি জানেন না। আপোসহীন এই নেত্রী একদিন বলেছিলেন, "আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হচ্ছে ভয় থেকে মুক্তি এবং যদি তুমি ভীতিহীন জীবনযাপন করতে না পার তবে তা মর্যাদাপূর্ণ মানুষের জীবন নয়।" সু চি আরো বলেন যে, ক্ষমতাসীন জান্তার সঙ্গে আলোচনার যে কোন সুযোগকে তিনি কাজে লাগাবেন। বরাবরই অকুতোভয় মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন সু চি। বিশ্বের দমনমূলক এক রাষ্ট্রে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ব্রিটিশ গৃহিণী থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন যে নারী তিনিই মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি। আর সে কারণেই ২০ বছর পর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জান্তা সরকার তাকে দূরে সরিয়ে রাখার পরও জনগণের জন্য সম্ভাবনাময় আশার প্রতীক হয়ে আছেন তিনি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালাতে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সী এ নেত্রী গত বিশ বছরের বেশির সময়ই থেকেছেন গৃহবন্দী। ১৯৯০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার দল 'ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি' সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী জয় অর্জন করে। কিন্তু ওই নির্বাচন মেনে নেয়নি জান্তারা। (সূত্র: ইন্টারনেট)