আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে । এ মাসেই পরপর ৪ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আর এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। সর্বশেষ আত্মহত্যার কাণ্ডটি ঘটেছে সোমবার এক ছাত্রীনিবাসে। রাবির চারুকলা বিভাগের ছাত্রী নিশাদ ফারহান টুম্পা তার আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছে। তার এই আত্মহত্যার কারণ ভিন্ন হলেও অপর তিনজনের আত্মাহুতির পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত কারণ। সর্বশেষ আত্মহননের পথে যাওয়া ছাত্রী নিশাদ ফারহান টুম্পা এ পরিণতির কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছে পিতার প্রতি অভিমান। এদিকে একই মাসে রাবির আরো তিন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাহাকুল ইসলাম সোহাগ বিষপানে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা করে সোহাগ। এ ঘটনার দু'দিন পর ১০ মার্চ বিকেলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী কবিতা রানী তার নিজ বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। সে মুন্নুজান হলের আবাসিক ছাত্রী ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কবিতা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুসলমান ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের টনাপোড়েন থেকেই সে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এদিকে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দর্শণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রকি একই দিনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। রকি বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র। তবে সৌভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। এখনো সে শয্যাশায়ী। জানা যায়, রকি নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের এক মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছিল। ঘটনার আগের রাতে প্রেমিকার বিয়ে হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে সে হলে তার নিজ কক্ষের (২২২) দরজা-জানালা বন্ধ করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। এক মাসে চারটি আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের ভাবিয়ে তুলছে। কেউ বলছেন, তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন। আবার কেউ বলছেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহারেই তরুণ-তরুণীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ নিয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেক অভিভাবক। (সূত্র: অনলাইন)