হাজারো জল্পনা-কল্পনার ভেতর দিয়ে আজ বুধবার মাঠে গড়াচ্ছে পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেট দ্বৈরথ। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই মহালড়াই। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানেই বিশেষ কোন ঘটনার সূত্রপাত। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে প্রতি মুহূর্তেই স্নায়ুচাপে ভোগার ম্যাচ। একটি ম্যাচে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনা-হতাশা-উচ্ছ্বাস আর প্রতি মুহূর্তে হাজারো ভাবাবেগের সংমিশ্রণ বিশ্বক্রিকেটের আর কোন ম্যাচে পাওয়া যায় না। চির প্রতিদ্বন্দ্বী এ দু'টি দলের ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনার রসদ পাওয়া। সে উত্তেজনার তাপ মাঠে ছড়িয়ে পড়ার আগেই বিশ্বব্যপী ক্রিকেট পিপাসুরা উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন মাঠের বাইরে। বিশ্ববাসী অপেক্ষা করেছে দীর্ঘ ৩ বছর। ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি জঙ্গীদের হামলায় ১৬৪ জন নিহত হয়। এরপরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ক্রিকেটে সকল প্রকার হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা থেকে নিজেদের বিরত রাখে। ফলে দীর্ঘদিন বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা বঞ্চিত হয় ক্রিকেটের প্রকৃত উন্মাদনা থেকে।
দু'দলই বিশ্বকাপ আসরে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৮৩'র বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি প্রথমবারের জন্য উপমহাদেশে আনে ভারত। এরপর তেমন বড় কোন সাফল্য ধরা দেয়নি তাদের। অবশেষে ২০০৩ বিশ্বকাপ আসরের অন্যতম হট ফেভারিট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে পৌঁছে ভারতীয় শিবির। কিন্তু বিশ্বক্রিকেটে তখন অস্ট্রেলিয়ার সাম্রাজ্য। তাদের কাছে হেরে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা স্বপ্ন ধুলিস্মাৎ হয় ভারতের। ২০০৭ সালের পরের বিশ্বকাপে কোন পাত্তাই পায়নি ভারতীয় শিবির। কোটি কোটি দর্শক-সমর্থককে হতাশায় ডুবিয়ে তারা গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে আসরে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক পর্বে গ্রুপ অব ডেথ বি হতে ৬ খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ভারত। কোয়ার্টারে তারা খুব সহজেই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে ৫ম বারের মত শেষ চারের গন্ডিতে পৌঁছে যায়। ভারত ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালেও সেমিতে পৌঁছালেও তা ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিতে পারেনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল দল। কারণ বিশ্বের একমাত্র এ দলটি নিয়ে কখনোই কোন ধরণের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয় না। বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দেয়া এ দলটি যে কোন সময় অভাবনীয় কিছু ঘটাতে সক্ষম। এ কারণে কোন বিশ্বকাপ আসরেই তারা হট ফেভারিটের তকমা গায়ে লাগাতে পারেনি। তবে নড়বড়ে আর বিশৃঙ্খল দল নিয়েও ১৯৯২ বিশ্বকাপে বিশ্ববাসীকে হতবাক করে ইমরান খানের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত শিরোপা নিয়ে ঘরে ফেরে পাকিস্তান। এরপর ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও হিসেবের বাইরে থেকে ফাইনালে পৌঁছে অসিদের কাছে পরাস্ত হয় পাকরা। তারপর পরপর দুটি বিশ্বকাপ আসরে (২০০৩ ও২০০৭) স্বাভাবিকভাবেই আনপ্রেডিক্টেবলরা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ে। আর ২০১১ বিশ্বকাপে বিভিন্ন নতুন বিতর্ক নিয়ে প্রায় ভঙ্গুর একটি দল নিয়ে শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে মিশন শুরু করে পাকরা। গতানুগতিক ধারা অনুসারে অনেক সমালোচনার বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল পাকরা। এবারও তারা ছিল সকল হিসাবের বাইরে। তবে গ্রুপ পর্বেই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে ৩৪ ম্যাচ পর তাদের পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয় পাকরা। ফলে তাদের শক্তির প্রমাণ আবারও ক্রিকেট বোদ্ধারা পেয়ে যান। আর এভাবে নান্দনিক খেলা প্রদর্শণ করে ৬ খেলাতে ১০ পয়েন্ট অর্জন করে দখল করে গ্রুপ এ'র শীর্ষস্থান। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যারিবীয়দের ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে নিজেদের শিরোপার দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় পাকরা। আর ৫ম বারের মত বিশ্বকাপ আসরের সেমিতে ওঠে পাকরা।
গত ৪০ দিনব্যপী চলমান বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত মুখোমুখি হয়েছে। একে তো পাক-ভারত ম্যাচ তাও আবার ৩ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিতে আবার দু'দলের দেখা। ক্রিকেট ভক্তদের শিরায় শিরায় তাই অফুরান উন্মাদনার বীজ রোপিত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপ রেকর্ড শতভাগ রয়েছে ভারতের পক্ষে। বিশ্বকাপে এর আগে ৪ বারের মোকাবেলায় প্রতিবারই ভারতের কাছে পাকরা পরাস্ত হয়। তবে একদিনের ম্যাচের রেকর্ডে পাকদের ধারে-কাছেও নেই ভারত। ওয়ানডেতে পরস্পরের ১২৪টি ম্যাচে ভারতীয়দের ৬৯ বার হতাশ করেছে পাকরা।
পক্ষান্তরে, ভারত মাত্র ৪৬ বার হাসতে পেরেছে জয়ের হাসি। ভারতের মাটিতেও পরস্পরের ২৮ ম্যাচে পাকরা ১৭-৯ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে অনেক হিসাব-নিকাশের পথ পেরিয়ে চলতি বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে স্বাগতিক ভারত অনেকটাই এগিয়ে থাকবে এ ম্যাচে। আর দুর্দান্ত বোলিং নিয়ে পাকরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়েই জয় পেতে থাকবে মরিয়া। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। বেলা তিনটা বাজলেই শুরু হবে কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তের বুকে দুরু দুরু কাঁপন। ঘড়ির কাঁটাও দম আটকে বসে আছে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে প্রথম বলটি গড়ানোর অপেক্ষায়।(সূত্র: অনলাইন)
দু'দলই বিশ্বকাপ আসরে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৮৩'র বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি প্রথমবারের জন্য উপমহাদেশে আনে ভারত। এরপর তেমন বড় কোন সাফল্য ধরা দেয়নি তাদের। অবশেষে ২০০৩ বিশ্বকাপ আসরের অন্যতম হট ফেভারিট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে পৌঁছে ভারতীয় শিবির। কিন্তু বিশ্বক্রিকেটে তখন অস্ট্রেলিয়ার সাম্রাজ্য। তাদের কাছে হেরে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা স্বপ্ন ধুলিস্মাৎ হয় ভারতের। ২০০৭ সালের পরের বিশ্বকাপে কোন পাত্তাই পায়নি ভারতীয় শিবির। কোটি কোটি দর্শক-সমর্থককে হতাশায় ডুবিয়ে তারা গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে আসরে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক পর্বে গ্রুপ অব ডেথ বি হতে ৬ খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ভারত। কোয়ার্টারে তারা খুব সহজেই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে ৫ম বারের মত শেষ চারের গন্ডিতে পৌঁছে যায়। ভারত ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালেও সেমিতে পৌঁছালেও তা ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিতে পারেনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল দল। কারণ বিশ্বের একমাত্র এ দলটি নিয়ে কখনোই কোন ধরণের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয় না। বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দেয়া এ দলটি যে কোন সময় অভাবনীয় কিছু ঘটাতে সক্ষম। এ কারণে কোন বিশ্বকাপ আসরেই তারা হট ফেভারিটের তকমা গায়ে লাগাতে পারেনি। তবে নড়বড়ে আর বিশৃঙ্খল দল নিয়েও ১৯৯২ বিশ্বকাপে বিশ্ববাসীকে হতবাক করে ইমরান খানের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত শিরোপা নিয়ে ঘরে ফেরে পাকিস্তান। এরপর ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও হিসেবের বাইরে থেকে ফাইনালে পৌঁছে অসিদের কাছে পরাস্ত হয় পাকরা। তারপর পরপর দুটি বিশ্বকাপ আসরে (২০০৩ ও২০০৭) স্বাভাবিকভাবেই আনপ্রেডিক্টেবলরা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ে। আর ২০১১ বিশ্বকাপে বিভিন্ন নতুন বিতর্ক নিয়ে প্রায় ভঙ্গুর একটি দল নিয়ে শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে মিশন শুরু করে পাকরা। গতানুগতিক ধারা অনুসারে অনেক সমালোচনার বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল পাকরা। এবারও তারা ছিল সকল হিসাবের বাইরে। তবে গ্রুপ পর্বেই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে ৩৪ ম্যাচ পর তাদের পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয় পাকরা। ফলে তাদের শক্তির প্রমাণ আবারও ক্রিকেট বোদ্ধারা পেয়ে যান। আর এভাবে নান্দনিক খেলা প্রদর্শণ করে ৬ খেলাতে ১০ পয়েন্ট অর্জন করে দখল করে গ্রুপ এ'র শীর্ষস্থান। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যারিবীয়দের ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে নিজেদের শিরোপার দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় পাকরা। আর ৫ম বারের মত বিশ্বকাপ আসরের সেমিতে ওঠে পাকরা।
গত ৪০ দিনব্যপী চলমান বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত মুখোমুখি হয়েছে। একে তো পাক-ভারত ম্যাচ তাও আবার ৩ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিতে আবার দু'দলের দেখা। ক্রিকেট ভক্তদের শিরায় শিরায় তাই অফুরান উন্মাদনার বীজ রোপিত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপ রেকর্ড শতভাগ রয়েছে ভারতের পক্ষে। বিশ্বকাপে এর আগে ৪ বারের মোকাবেলায় প্রতিবারই ভারতের কাছে পাকরা পরাস্ত হয়। তবে একদিনের ম্যাচের রেকর্ডে পাকদের ধারে-কাছেও নেই ভারত। ওয়ানডেতে পরস্পরের ১২৪টি ম্যাচে ভারতীয়দের ৬৯ বার হতাশ করেছে পাকরা।
পক্ষান্তরে, ভারত মাত্র ৪৬ বার হাসতে পেরেছে জয়ের হাসি। ভারতের মাটিতেও পরস্পরের ২৮ ম্যাচে পাকরা ১৭-৯ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে অনেক হিসাব-নিকাশের পথ পেরিয়ে চলতি বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে স্বাগতিক ভারত অনেকটাই এগিয়ে থাকবে এ ম্যাচে। আর দুর্দান্ত বোলিং নিয়ে পাকরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়েই জয় পেতে থাকবে মরিয়া। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। বেলা তিনটা বাজলেই শুরু হবে কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তের বুকে দুরু দুরু কাঁপন। ঘড়ির কাঁটাও দম আটকে বসে আছে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে প্রথম বলটি গড়ানোর অপেক্ষায়।(সূত্র: অনলাইন)