৩০ মে, ২০১১

আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ৩০তম শাহাদত বার্ষিকী। শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। ১৯৩৬ সালে ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতা জাহানারা খাতুন রানী। ৫ ছেলে-মেয়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। পিতা মনসুর রহমানের চাকরির সুবাদে তিনি ভর্তি হন করাচি একাডেমি স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। সেখানে দুই বছর চাকরি করেন জিয়াউর রহমান। তারপর ১৯৫৭ সালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬০ সালে দিনাজপুর শহরের মেয়ে বর্তমান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল এদের অন্যতম। এ যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পেশাদার ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন। সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুর সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান। ১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১ নম্বর সেক্টরে সেক্টর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে গভীর রাতে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে একদল বিপদগামী সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। বিক্ষুব্ধ সেনা সদস্যরা তার লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিনদিন পর ওই লাশ উদ্ধার করে ঢাকা শেরেবাংলা নগরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। (সূত্র: অনলাইন)