আজ ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। এ বছর তামাক মুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে 'তামাক নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও'র ফ্রেমওর্য়াক কনভেনশন'। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সেই সাথে তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম ভিত্তিক অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপ্লি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তামাকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে এবং তামাক মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসের উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও বাংলাদেশ ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম সকাল ১১টায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বেসরকারি সংস্থা মানস সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ দ্রুত সংশোধনের দাবিতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করবে একটি সাইকেল র্যালি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে সারা বিশ্বে ধুমপায়ীর সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। পশ্চিমা দেশগুলোতে ধুমপায়ীর হার ২৪ শতাংশ কমলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেড়ে ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তামাক পণ্যের ব্যবহারে প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন লোক মারা যায়। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক শিশু ধুমপানের দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে। যদি এর ব্যবহার না কমানো যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে মৃত্যুর হার ৮ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। যার ৮০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে। আর এদিকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ সিগারেট, বিড়ি, গুল ও তামাক পাতায় আসক্ত। প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের কারনে বিভিন্ন রোগে মারা যাচ্ছে ৫৭ হাজার লোক। বিসিসিপি ডেপুটি ডিরেক্টর ড. নজরুল হক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ অভিযান কার্যক্রমটি গণমাধ্যমের সাহায্যে দেশবাসীকে অবহিত করা হবে। তাই ৩০ মে রাত ১১টা থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এক মাসব্যাপী হবে প্রচার কার্যক্রম। এ ক্যাম্পেইনে স্পঞ্জ'র সেই বক্তব্যটি জনগণের দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে দেয়া হবে। প্রচার করা হবে স্বচিত্র সর্তক বার্তা। তামাক ফুসফুসে কিভাবে ক্ষতি করে তাও দেখানো হবে প্রচার অভিযানে।(সূত্র: শীর্ষনিউজ ডটকম)