মানবতার কবি, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্মজয়ন্তী আজ। অসাম্প্রদায়িক এই কবি লেখক জীবনে বাঙালির চিন্তা-মনন ও অনুভূতির জগতে নানাভাবে নাড়া দিতে পেরেছেন। ফ্যাসিবাদ, অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন তিনি গেয়েছিলেন সাম্যের গান। ১৮৯৯ সালের এ দিনে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই নজরুলের কবিতা ও গান সমানভাবে সমৃদ্ধ। কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তিনি বিদ্রোহী কবি পরিচয়ে ভূষিত হন। কবিতার মাধ্যমে তিনি নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। মানুষের প্রতি মানুষের অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কবিতাকে। কবি-সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরে রাজনীতিবিদ ও সৈনিক হিসেবে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন নজরুল। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতোই তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে। এ কারণেই তিনি বিদ্রোহী কবি। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে ফেরার পথে নজরুল দু'টি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি করেন। এ বছর বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর পূর্তি হচ্ছে। (সূত্র: অনলাইন)