১৬ মে, ২০১১

পুরুষের পেটে মানবভ্রূণের অস্তিত্ব- অবাক হওয়ার কিছুই নেই

বগুড়ার আবদুল মালেককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আবদুল মালেককে আপাতত মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তাকে শিগগিরই অপারেশনের জন্য সার্জারি বিভাগে নেয়া হবে। সেখানে তার শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অপারেশনের ব্যবস্থা করা হবে। কর্তব্যরত ডাক্তার আৰ মালেক সম্পর্কে বলেন এটি নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েক বছর আগে এ ধরনের আরেকটি কেস এসেছিল। ওই রোগীর অপারেশনেও সফলতা পাওয়া গেছে। পুরুষের পেটে মানবভ্রূণের অস্তিত্ব পাওয়া বিষয় নিয়ে মালেকের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আব্দুল জলিল জানান, এটি সত্যি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। হতে পারে আবদুল জলিলের পেটে তার ভাই বা বোন রয়েছে। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, জন্ম থেকেই মালেকের জন্মের সময় থেকেই তার পেটে এ ভ্রূণটি রয়েছে। মূলত মালেক যখন তার মায়ের গর্ভে ছিল তখন তার মায়ের পেটে দু'টি মানবভ্রূণ ছিল। একটি মালেক আর অন্যটি তার পেটের ভ্রূণ। এটি তার ভাইও হতে পারে আবার বোনও। মালেক তার মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় কোন না কোনভাবে তার পেটে এটি প্রবেশ করে। তারপর সে এ অবস্থাতেই ভূমিষ্ঠ হয়। তিনি বলেন, মালেকের রক্ত, মাংস থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ভ্রূণটি জীবিত আছে। তবে এ ভ্রূণটি পূর্ণাঙ্গ মানবের আকৃতি ধারণ করতে পারেনি। কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ঘটেছে। মূলত এটি একটি মাংস পিণ্ডে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত পৃথিবীতে এ ধরনের ৯০ জন রোগী পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। গত ২৮ এপ্রিল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র আবদুল মালেক পেটে ব্যথা নিয়ে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে চিকিৎসকরা এটিকে টিউমার বললেও পরবর্তীতে ২ মে সিটিস্ক্যান করে মানবভ্রূণের অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে তাকে অপারেশনের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে শনিবার রাতে বগুড়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। (সূত্র: অনলাইন)