২৩ মে, ২০১১

যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধার কথা

আমারা স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস ঘটা করে পালন করলেও খোজ রাখি না অবহেলিত অনেক মুক্তিযোদ্ধার। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যখন কোন অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধার ক্ষোভ ও আর্তনাদের কথা তুলে ধরে তখন আমাদের বিবেকে স্তম্ভিত করে দেয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বিলচন্দ গ্রামের মরহুম আলীমুদ্দীন প্রামামিক এর ছেলে আঃ ছাত্তার মিয়া।  তিনি বর্তমানে বগুড়া সেনানিবাসে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সাভির্সেস (এম.ই.এস ) এর অধীনে এস.বি.এ পদে কর্মরত আছেন। কথা হয় তাঁর সাথে তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুল হারাই এবং পায়ে গুলিবিদ্ধ হই। সেই থেকে আমি অনেকটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটি। প্রশাসনিক জটিলতার কারনে ত্রিশ বছর সততা ও নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালন করলেও কোন পদন্নতি বা চাকুরী স্থায়ী করন করা হয়নি। তিনি আরও জানান যদিও ২০১০ সালে আমার অবসর গ্রহনের কথা ছিল কিন্তু মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অনুগ্রহে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরীর মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করায় আগামী ২০১২ সাল নাগাদ পর্যন্ত চাকুরী করতে পারব। ঘরে আমার বিধাব মেয়ে ( নাতী সহ) আর তিন ছেলে বেকার। সন্মূখ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে আফসোস হয়, ভয়ে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধে আহত হয়েও কেন বেচেঁ থাকলাম। এত কষ্ট নিয়ে বেচেঁ থাকার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভালো ছিল। অনেক প্রতিশ্র“তি, অনেক আশার বানী শুনে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। কিন্তু যুদ্ধ করে দেশ মাতাকে স্বাধীনতা  এনে দিলেও আমার ভাগ্যের কোন উন্নতি ঘটেনি। তিনি আরোও বলেন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য না হলেও নিহত শহীদ যোদ্ধাদের জন্য একটি সোনার বাংলা উপহার দিন। জীবনের শেষ বেলায় এসেও যদি চাকুরী স্থায়ী করনের চিঠি পাই তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। এ ব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

ফকির মানিক, বিসিক, রংপুর।