ফয়সাল মাহমুদ পল্লব
তারেক মাসুদ। মুক্তিরগান ছবির দর্শক হয়েছিলাম যেদিন সেদিন প্রথম তারেক মাসুদের নাম শুনি। শুনি পরিচালক তারেক মাসুদ মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে একটি প্রামান্য ছবি নির্মান করেছেন। দেখলাম মুক্তির গান। ছবি দেখেই তার প্রতি কেমন যেন একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নিলো। ধিরে ধিরে তারেক মাসুদের জন্য মনের অনেকটা জায়গা ছেড়ে দিতে হলেছিলো, আজ বুঝলাম। মাটির ময়না ছবিটি দেখে মনে হয়েছিলো একজন ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাতা তিনি। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তারেক মাসুদ। সংবাদটি খুব কষ্ট দিয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত মানুষদের স্মরণ করতে করতে আমাদের প্রতিদিন ক্লান্ত হতে হচ্ছে। মিরসরাই থেকেই এই সৃষ্টি নয় আরো পূর্বেই শুরু হয়েছে। অথচ আমরাই প্রতিদিন অদক্ষ চালকদের গাড়িতে উঠে দূর-দূরান্তে চলতে বাধ্য হচ্ছি। এই চালকদের নিয়ে কেউ যেন কিছুই করছে না। তাদের কোনভাবেই প্রশিক্ষত করা বা দূর্ঘটনার কারনে সাজা-শাস্তি, রাস্তার অবকাঠমোগত পরিবর্তন, গতি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, কারা লাইসেন্সধারী চালক হতে পারবে এর একটা সুষ্ঠনীতিমালা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ট্রাফিক পুলিশদের ঘুষ খাওয়া কিছুটা রোধ করা গেলে হয়তো বা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। আসলে হতো কি? না হতো না? নাহলে আমার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সাথে আপনিও আপনার সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, গ্রামবাসী-জেলাবাসী, সাধারণ-অসাধারণ মানুষেরও সড়ক পথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আজ তারেক মাসুদের মৃত্যু অন্যভাবে হলে এই লেখার প্রয়োজন হয়তো পরতো না। গত কদিন আগেই শুধু মিরসরাই গ্রামবাসী কাদেনি, কেদেছে সমগ্র দেশবাসী। মিরমরাইয়ের প্রতিটি কিশোর মুখগুলো যেন আমাদের মুখ মনে হয়েছে। আহা এই সময় তোমাদের এভাবে ঝড়ে যাওয়ার কথা ছিলোনা। না ছিলো না। তবুও দেখতে হয়েছে তোমাদের কচি মৃত মুখগুলো। দেখতে হয়েছে তারেক মাসুদ তোমার বিভৎস মৃত মুখ। সাথে মীশুক ভাইয়ের মৃত মুখ। রীতি অনুযায়ী পত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে ছাপা হবে তারেক মাসুদের মৃত্যুর খবর। কে কত বড় অক্ষরে ছাপবে তার প্রতিযোগীতাও চলবে। কিন্তু সবাই পড়লেও সেই খবর শুধু তারেক মাসুদ পড়বে না, পড়বে না মীশুক ভাই। যেমন পড়তে পারেনি মিরসরাইয়ের কিশোরগুলি। রীতিনীতিতে শুধু তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি, শোকবইতে স্বাক্ষর করার মধ্যেই আমাদের শোক সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনা। আমরা এই সড়ক দূর্ঘটনার প্রতিকার চাই....................।
তারেক মাসুদ। মুক্তিরগান ছবির দর্শক হয়েছিলাম যেদিন সেদিন প্রথম তারেক মাসুদের নাম শুনি। শুনি পরিচালক তারেক মাসুদ মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে একটি প্রামান্য ছবি নির্মান করেছেন। দেখলাম মুক্তির গান। ছবি দেখেই তার প্রতি কেমন যেন একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নিলো। ধিরে ধিরে তারেক মাসুদের জন্য মনের অনেকটা জায়গা ছেড়ে দিতে হলেছিলো, আজ বুঝলাম। মাটির ময়না ছবিটি দেখে মনে হয়েছিলো একজন ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাতা তিনি। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তারেক মাসুদ। সংবাদটি খুব কষ্ট দিয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত মানুষদের স্মরণ করতে করতে আমাদের প্রতিদিন ক্লান্ত হতে হচ্ছে। মিরসরাই থেকেই এই সৃষ্টি নয় আরো পূর্বেই শুরু হয়েছে। অথচ আমরাই প্রতিদিন অদক্ষ চালকদের গাড়িতে উঠে দূর-দূরান্তে চলতে বাধ্য হচ্ছি। এই চালকদের নিয়ে কেউ যেন কিছুই করছে না। তাদের কোনভাবেই প্রশিক্ষত করা বা দূর্ঘটনার কারনে সাজা-শাস্তি, রাস্তার অবকাঠমোগত পরিবর্তন, গতি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, কারা লাইসেন্সধারী চালক হতে পারবে এর একটা সুষ্ঠনীতিমালা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ট্রাফিক পুলিশদের ঘুষ খাওয়া কিছুটা রোধ করা গেলে হয়তো বা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। আসলে হতো কি? না হতো না? নাহলে আমার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সাথে আপনিও আপনার সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, গ্রামবাসী-জেলাবাসী, সাধারণ-অসাধারণ মানুষেরও সড়ক পথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আজ তারেক মাসুদের মৃত্যু অন্যভাবে হলে এই লেখার প্রয়োজন হয়তো পরতো না। গত কদিন আগেই শুধু মিরসরাই গ্রামবাসী কাদেনি, কেদেছে সমগ্র দেশবাসী। মিরমরাইয়ের প্রতিটি কিশোর মুখগুলো যেন আমাদের মুখ মনে হয়েছে। আহা এই সময় তোমাদের এভাবে ঝড়ে যাওয়ার কথা ছিলোনা। না ছিলো না। তবুও দেখতে হয়েছে তোমাদের কচি মৃত মুখগুলো। দেখতে হয়েছে তারেক মাসুদ তোমার বিভৎস মৃত মুখ। সাথে মীশুক ভাইয়ের মৃত মুখ। রীতি অনুযায়ী পত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে ছাপা হবে তারেক মাসুদের মৃত্যুর খবর। কে কত বড় অক্ষরে ছাপবে তার প্রতিযোগীতাও চলবে। কিন্তু সবাই পড়লেও সেই খবর শুধু তারেক মাসুদ পড়বে না, পড়বে না মীশুক ভাই। যেমন পড়তে পারেনি মিরসরাইয়ের কিশোরগুলি। রীতিনীতিতে শুধু তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি, শোকবইতে স্বাক্ষর করার মধ্যেই আমাদের শোক সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনা। আমরা এই সড়ক দূর্ঘটনার প্রতিকার চাই....................।
অন্তর থেকে শুধু শ্রদ্ধা জানাতে পারছি তারেক মাসুদ। শ্রদ্ধা জানাতে পারবো, শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে পারবো, কিন্তু নিরাপদ সড়ক দিতে পারবো না। ক্ষমা করো মিরসরাইয়ের কিশোরগুলো, ক্ষমা করো তারেক মাসুদ, মীশুক ভাই।