জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তিনি নয়া পল্টনের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ১৯২৩
সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এ শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক । তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। তবে তিনি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নামে
সবার কাছে পরিচিত। শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ভাই কবীর চৌধুরী। মৃত্যুকালে তিনি তিন কন্যা ও অসখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ৷ ১৯৯৮ সালে তিনি
জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জীবনদশায়
তিনি অসংখ্য পুরুস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১৯৬৮ সালে
পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনর স্বর্ণপদক, ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান
সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সম্মাননা পদক,
১৯৮৫ সালে অলক্ত স্বর্ণপদক ও সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৬ সালে নাসিরউদ্দিন
স্বর্ণপদক, ১৯৮৯ সালে শেরে বাংলা পুরস্কার, ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমী
পুরষ্কার, ১৯৯১ সালে একুশে পদক, ১৯৯৪ সালে উইলিয়াম কেরী স্বর্ণপদক (ভারত),
১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার,
১৯৯৮ সালে সুফী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে হোসেন শহীদ
সোহরাওয়ার্দি জাতীয় পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে কবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার, ২০০১
সালে বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন পুরস্কার, ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, ২০০৪
সালে ওয়ার্ল্ড পোয়েট্রি গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড, ২০০৬ সালে বিশ্ব নাটক দিবস
সম্মাননা, ভারতের ট্যাগোর পিস অ্যাওয়ার্ড, ২০১০ সালে গীতাঞ্জলি সম্মাননা
পদক পান। এদিকে কবীর চৌধুরীকে শেষবারের মতো দেখতে তাঁর বাসায় এসেছেন
পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঘাতক দালাল
নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুনসহ নানা
পেশার লোকজন।