কবি এবং নারী জাগনণের পথিকৃত বেগম সুফিয়া কামালের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের এক অভিজাত সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তৎকালীন পর্দা সময়ে তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে গান্ধিজির অহিংস নীতিতে অনুরক্ত হয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, এরপর ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বাঙালির প্রতিটি অর্জনে রেখেছেন গৌরবজ্জল ভূমিকা। ছায়ানট, কচিকাঁচার মেলা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো মায়া কাজল, সাঁঝের মায়া, কেয়ার কাঁটা, একাত্তরের ডাইরি, মোর যাদুদের সমাধি পরে, ইত্যাদি। ব্যক্তি ও কবি জীবনের অনন্য স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬১ সালে পেয়েছিলেন তৎকালীন পকিস্তানের জাতীয় পুরস্কার তঘমা-ই-ইমতিয়াজ। যদিও তা তিনি বাঙালিদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৯৬৯ সালে তা বর্জনও করেছিলেন।
এছড়া ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৭৬ সালে একুশে পদক, ১৯৭৭ সালে নাসিরুদ্দিন স্বর্ণপদক, ১৯৯৬ সালে বেগম রোকেয়া পদক, ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস পদক সহ পেয়েছিলেন নানা পুরস্কার। (সূত্র: ইন্টারনেট)