২২ নভেম্বর, ২০১০

সেন্টপিটার্সবার্গে বাঘকে বাঁচাতে সম্মেলন

বিলুপ্তির হাত থেকে বাঘকে বাঁচাতে সেন্টপিটার্সবার্গ সম্মেলনে অভিন্ন অঙ্গীকার গ্রহণের দাবি জানাবে বাংলাদেশ।  রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে দাবি তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  চার দিনব্যাপী বিশ্ব বাঘ বাঁচাও সম্মেলন বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি বাঘসমৃদ্ধ দেশ যোগ দিচ্ছে। এই সম্মেলনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ বিশ্বের পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার কৌশলপত্র চূড়ান্ত এবং বাঘ রক্ষায় একটি অভিন্ন অঙ্গীকারের লক্ষে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার রাতে সেন্টপিটার্সবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

পৃথিবীর দুর্লভ প্রাণী সাইবেরিয়ান সাদা বাঘসমৃদ্ধ রাশিয়া এই আনত্মর্জাতিক সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা। সঙ্গে যোগ দেয়া অন্য ১২টি দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, নেপাল, চীন ও থাইল্যান্ড। বাঘের বিচরণ ভূমি, খাদ্য রক্ষা এবং অবৈধভাবে বাঘ শিকার বন্ধ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভস্নাদিমির পুতিন। বাঘ বিষয়ে বিভিন্ন সমীক্ষাতে দেখা যায়, বর্তমানে পৃথিবীতে বাঘের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ২শ'টি। এক শতাব্দী আগেও এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চামড়ার লোভে অবৈধ শিকার, বনাঞ্চল ধ্বংসসহ নানা কারণে বাঘের অসত্মিত্ব আজ পৃথিবীতে হুমকির মুখে। উলেস্নখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি, ভারতে ১৪১১টি, মিয়ানমারে ৮৫টি, নেপালে ১৫৫টি, ভুটানে ৭৫টি, চীনে ৪৫টি, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২৫টি, থাইল্যান্ডে ২০০টি, রাশিয়ায় ৪০০টি, কম্বোডিয়ায় ২০টি, লাওসে ১৭টি বাঘ অবশিষ্ট আছে।