২৪ নভেম্বর, ২০১০

১ টাকার কয়েন: বিভ্রান্ত না হতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহি পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার এক টাকার কয়েন নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা কিনে কেউ যেন প্রতারিত না হন সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে এক টাকা মূল্যমানের সোনালি রঙের কয়েন নিয়ে নানা ধরনের গুজব চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কয়েন ৩৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সোনালি রঙের এ কয়েনে স্বর্ণের কোনো প্রলেপ নেই। তাই এ ব্যাপারে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গত ক'দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একটি চক্র ৩৫ টাকা থেকে ১শ টাকা পর্যন্ত এ ধাতব মুদ্রা কিনছে বলে জানা গেছে। এমনকি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ভবনের সামনে  থেকে ৩৫ থেকে ৬০ টাকায় একটি চক্র এ কয়েন কিনে নিয়ে গেছে। এছাড়া গত সোমবার থেকেই সিলেট অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কয়েন সর্বোচ্চ ৫শ টাকায় বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এক টাকা মূল্যের এ মূদ্রার ওজন প্রায় ৪ গ্রাম। এতে রয়েছে ৫৯ শতাংশ কপার, ৩৯ শতাংশ জিংক, ১ শতাংশ টিন এবং বাকি অন্যান্য। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ কোটি পিস ধাতব মুদ্রা বাজারে ছাড়ে।
জানা যায়, কপার, জিংক ও টিনের তৈরি এ কয়েনে এমন কিছু নেই যার বাজার মূল্য এত হতে পারে। মানুষ গুজবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামে অবৈধ পন্থায় কয়েন কেনার সময় হাতে নাতে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
এ কয়েন ভারতে পাচার হচ্ছে বলেও অনেকের ধারণা। গুজব উঠেছে, স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ মুদ্রা স্বর্ণের অলঙ্কার তৈরিতে প্রলেপ দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা দিয়ে চামচ তৈরি হচ্ছে বলেও গুজব উঠেছে। (সূত্র: শীর্ষ নিউজ)