৩ ডিসেম্বর, ২০১০

‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ কি বিএনপি সমর্থিত

 হঠাৎ ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ পুলিশ ও র‌্যাবের বিচার চেয়ে বসেছে? কেন? একটি নিরপেক্ষ মানবাধিকার সংস্থাকে কেন বিতর্কিত করা হচ্ছে? হরতালে জনগনের জানমাল রক্ষনাবেক্ষনের কাজে দায়িত্ব পালন করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। আর এতে এই বাহিনীকে বেপরোয়া বলা কি ঠিক হয়েছে গবেষক আব্বাস ফয়েজ সাহেবের?? তাহলে হরতালের আগের দিন যে ঢাকাতে অনেকগুলো গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো সে কর্মকান্ডগুলো কি ছিলো পরোয়া??  তিনি কি গবেষণা করে এই সিদ্ধান্ত নিলেন? উনি কি ব্যক্তিগতভাবে বিএনপি সমর্থিত?
 বিস্তারিত সংবাদ
 প্রধান বিরোধীদল বিএনপির ডাকা ৩০ নভেম্বরের হরতালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণকে ‘বেপরোয়া’ বলে সমালোচনা করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’। সংস্থাটি বলছে, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী ওইসব পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা জরুরি। হরতালের দিনের ওপর ভিত্তি করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ এক বিবৃতিতে একথা উল্লেখ করেন। অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে এটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘হরতালের দিন বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণ ছিল বেপরোয়া। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে তারা অযাচিতভাবে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে।’ঢাকাসহ অন্য কয়েকটি এলাকার তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরো উল্লেখ করে, ‘ডজনখানেকের বেশি স্থানে র‌্যাব ও পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে হরতালপালনকারীদের উপর চড়াও হন। এতে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।’হরতাল পালনকারীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যদের শনাক্ত করতে দ্রুত তদন্ত করা উচিত এবং তাদেরকে বিচারে সোপর্দ করা জরুরি বলেও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি। আ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে তার কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত। ভবিষ্যতে তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকারীদের সঙ্গে এধরনের দুর্ব্যবহার না করেন সে ব্যাপারেও দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন।’হরতালের দিন গ্রেপ্তারকৃতরা যেন যথাযথ আইনী সুযোগ পান এবং তাদের স্বজনরা যেন জেলহাজতে সাক্ষাতের সুযোগ পান সে দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা হয়নি তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। (বিস্তারিত সংবাদ: সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট. বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)