২৬ মার্চ, ২০১১

স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতার ৪০ বছর

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার গৌরবময় ৪০ বছর পূর্তি আজ । স্বাধীন জাতি হিসেবে সারা বিশ্বের বুকে একটি পতাকার জন্মের দিন আজ। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা অর্জনে এই বাঙালীজাতি হারিয়েছে তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের জনতা। ৪০ বছর আগের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। ২৫ শে মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় যে গণহত্যা চালায়, তারই প্রতিশোধের অংশ হিসেবে নয় মাসের মরণপণ যুদ্ধে জেগে ওঠে জাতি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে ঢাকায় গণহত্যা চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই ৭ মার্চ জাতিকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান  জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ৪০ বছরেও সম্ভব হয়নি,  সে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত বছর, এখনও তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বিচার কবে শেষ হবে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। বিভিন্ন আনুষ্ঠিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার ৪০ তম উৎসব। এবারের স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশকে সর্ব প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার উৎসবে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতির বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকা এসেছেন তিনি। এদিন সব সরকারি ও আধা সরকারি ভবনে উড়ছে জাতীয় পতাকা। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোর দুই পাশে জাতীয় পতাকা ও নানা রঙের পতাকা ওড়ানো হয়েছে। বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিসবটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। সংবাদপত্রগুলো বের করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সব ধর্মের উপসানলয়ে বিশেষ প্রার্থনা ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। (কিংবদন্তী ডেস্ক)