১৫ মার্চ, ২০১১

উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে জাপানে

টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে  ফুকুশিমা ১ নং বিদ্যুতকেন্দ্রের ৪নং চুল্লীটিতে  ১৫ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯.৩৮ এ অগ্নিকান্ডের সূচনা হয়। অগ্নিকান্ডের আগে চুল্লীটিতে বিষ্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। টেপকো জানিয়েছে নিউক্লিয়ার ফুয়েল সংরক্ষন করার পুলটির তাপমাত্রা বেড়ে ৮৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকার কথা। প্রাথমিক ভাবে হাইড্রোজেন বিষ্ফোরণকেই ৪নং চুল্লীর অগ্নিকান্ডের পেছনে দায়ি বলে মনে করা হচ্ছে। সকালে একটি ভেন্টিলেশন ভাল্ভ খোলার চেষ্টার সময় ২ নং প্ল্যান্টটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে|  ফুকুশিমা আনবিক প্রকল্পের নিকটবর্তী এলাকায় সকাল ১০.২০ এ ৪০০ মিলি সিয়েভার্ট তেজস্ক্রিয়তা নির্ণয় করা হয়। মানব দেহ ১০০ মিলি সিয়েভার্ট তেজস্ক্রিয়তা গ্রহন করতে পারে। ১৫০ মিলি সিয়েভার্ট মানুষের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ৫০০ মিলি সিয়েভার্ট মানুষের চামড়া পুড়িয়ে ফেলতে পারে এবং রক্তের শ্বেতকণিকাকে ধ্বংস করতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে বাতাস পশ্চিম দিকে বইছে| টোকিওতে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তেজস্ক্রিয়তা ধরা পরে| টোকিওতে ০.৮ মাইক্রো সিয়েভার্ট তেজস্ক্রিয়তা রেকর্ড করা হয় যা স্বাভাবিকের চাইতে ২২ গুণ বেশি, চিবা প্রিফেকচারে ০.০৭৪ মাইক্রো সিয়েভার্ট তেজস্ক্রিয়তা রেকর্ড করা হয়| সকালে প্রধানমন্ত্রী কান জানিয়েছেন ফুকুশিমার ২০ কিঃমিঃ এলাকার মধ্যে ১৩০,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। ২০-৩০ কিঃমিঃ এলাকার মধ্যে সকল কে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চুল্লীটির আশেপাশে তেজস্ক্রিয়তার পরিমান ছিলো ঘন্টায় ৯৬৫.৫ মাইক্রো সিয়েভার্টস। সকাল ৯টার দিকে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। বেলা ১১টার পরে অবশ্য কমে ২ হাজার সিয়েভার্টসের কাছাকাছি চলে আসে। তেজস্ক্রিয়তার গ্রহনযোগ্য মাত্রা হলো বছরে ১ হাজার মাইক্রো সিয়েভার্টস। প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান ফুকুশিমা ১নং প্রকল্পের সন্নিকটের ২০ কিঃমিঃ এর মধ্যে বসবাসরত সকলকে অনতিবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেন। ২০ থেকে ৩০ কিঃমিঃ এর মধ্যে সবাইকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সূত্র: কমিউনিটি)