বাংলাদেশ সফরের তৃতীয় দিনে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সফরসূচিতে ছিল নৌবিহার। শীতলক্ষ্যা ও মেঘনার পানি, নদী তীর, চলমান নৌকা দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি বুড়িগঙ্গা হয়ে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়ান। জাহাজ মেঘনায় গিয়ে পড়লে রাজা আরও মুগ্ধ হন। নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ ‘শক্তি সঞ্চার’-এ রাজা ঘুরতে বেড় হন। খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও চিফ অফ প্রোটোকল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেক রাজার সঙ্গে ছিলেন। জাহাজেই দুপুরের খাবার গ্রহন করেন রাজা। খাবারের মেন্যুতে মুরগি ছাড়াও বিভিন্ন মাছ দিয়ে তৈরি নানা পদের খাবার রাখা হয়। বাংলাদেশি স্বাদকে মাথায় রেখেই খাবার রান্না করা হয়। শীতলক্ষ্যা-মেঘনার মোহনায় জাহাজ পড়লে চারপাশের অথৈ জলরাশি দেখে চূড়ান্ত অভিভূত রাজা। তিনি একে ‘সাগরের মতো’ বলে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ভুটানের নদী খরস্রোতা হলেও প্রস্থে বিশাল নয়। নৌপথে ভ্রমনের সময় আশেপাশের জীবন, জলযান, জলকেন্ত্রীক ব্যবসা- সব সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন সফরসঙ্গী খাদ্যমন্ত্রী ও চিফ অফ প্রোটোকল। নৌবিহারে রাজার সঙ্গে ভূটান থেকে আসা রাজার ১৭ সফরসঙ্গীও অংশ নেন। সোমবার সকালে ভুটানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ‘ড্রুক এয়ারে’র নিয়মিত ফ্লাইট কেবি-১২৭ যোগে থিম্পুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন রাজা। (সূত্র: অনলাইন)