২৪ মার্চ, ২০১১

জাপান পরিস্থিতি: মৃত এবং নিখোঁজের সংখ্যা ২৫ হাজার

১১ই মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির পর এখন পর্যন্ত মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা ২৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে সেদেশের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি। নিখোঁজদের ও নিহতের বেশির ভাগই মিয়াগি, ইওয়াতে এবং ফুকুশিমা প্রিফেকচারের। মিয়াগিতে মৃতের সংখ্যা ৫,৭০০ অতিক্রম করেছে, ইওয়াতেতে ৩,০০০ এবং ফুকুশিমাতে ৭৭৬ দাঁড়িয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ২ লাখ মানুষ। কেউ কেউ ধীরে ধীরে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে ১৮ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তোকাই অঞ্চলে আবারও ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিলো শিজুওকার ১৪ কিলোমিটার গভীরে। তাৎক্ষনিকভাবে জানানো হয়েছে শিজুওকার হামাওকা আনবিক বিদ্যুত প্রকল্প ভূমিকম্পের কারনে বন্ধ হয়ে যায়নি। ভূমিকম্পে রাতের টোকিও কেঁপে ওঠে। অনেক স্থানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এদিকে হাজার হাজার বিদেশী জাপান ছাড়ছেন। বাংলাদেশীরা হন্যে হয়ে ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে ধর্ণা দিচ্ছেন। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি সূত্রে বলা হয়েছে এ সপ্তাহে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে আর প্রায় কোন আসন খালি নেই। অনেকেই বুকিং দিয়ে রাখছেন, কিন্তু কবে টিকেট পাবেন তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেননা। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী জাপান ছাড়ার মনস্থির করে ফেলেছেন। এখন তারা সবাই টিকেটের অপেক্ষায় রয়েছেন। কেউ কেউ টিকেট না পেয়ে অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছেন আত্মরক্ষার্থে। এদিকে বিমান টিকেটের দাম আকস্মিক ভাবে অনেক বেড়ে গেছে। কোন কোন এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে।  বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস টোকিও থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিবিসির একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি বাতাসে তেজস্ক্রিয়া টোকিওর দিকে চলেও আসে তবুও তা দীর্ঘ এলাকাব্যপী ছড়িয়ে পড়বে। ফলে তেজস্ক্রিয়তার ঘনত্ব কমে যাবে। বাতাস যদি আরো জোরে প্রবাহিত হয় তবে আরো বেশি এলাকা ছড়িয়ে পড়বে এতে টোকিওর তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা আরো কমে যাবে। (সূত্র: অনলাইন)