দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহত হয়েছে ১৬ জন। জয়পুরহাট, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুর, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, পাবনা, মাগুরা, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বজ্রপাতে এসব ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাটে এক মহিলা গরু চরানোর সময় বজ্রপাতে নিহত হন। তার নাম জুলেখা বিবি (৩০)। কুড়িগ্রামে সদর ও উলিপুর উপজেলায় ২ জন মারা গেছেন। উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছা এলাকার সালমা আখতার শিল্পী (২২) নামের এক কিশোরী মারা যায়। শিল্পী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী। চাদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় সোমবার সকালে বজ্রপাতে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের শাহ আলম (৩৫)। অপরজন বড়কূল ইউনিয়নের দোয়াগন্ডা গ্রামের মামুন (১২)। রাজশাহীতে সকাল ৯টার দিকে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন রাজশাহীর পুঠিয়ার চক দোমাদি পূর্বপাড়া এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে লাল্টু (২৫), জাগিরপাড়া শিবপুর হাট এলাকার কালুর ছেলে সাগর (১০), বাঘমারার চাইপাড়া এলাকার দুলাল মোল্লার ছেলে মন্টু (২৮) এবং মোহনপুরের কুঠিবাড়ি গ্রামের আজাদের ছেলে আব্দুল হান্নান (৩০)। গোপালগঞ্জে সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে জমিতে কাজ করার সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নূর ইসলাম (৩৮) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পাঁচপুঙ্গলী গ্রামে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে খাইরুল ইসলাম (২৫) ও বাবু হোসেন (১৬) নামে দুই কৃষকের মৃত্যুও খবর জানিয়েছেন । মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া চরপাড়া গ্রামে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাতে মোর্শেদা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। অপরদিকে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছে ২ কিশোরী। এরা হলো ওই উপজেলার আমানউল্যা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের ছানাউল্যার মেয়ে সাবানা বেগম (১৪) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ফারহানা আক্তার (১৬)। তারা দু’জনেই স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী । নোয়াখালীতে সকাল ১১টার দিকে ক্ষেতে বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয় দুই কিশোরী। ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কুলাগাজী তালুক গ্রামে সোমবার দুপুর ১২টায় বজ্রপাতে দেলোয়ার হোসেন নামে এক স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন। (সূত্র: অনলাইন)