‘কে হতে চায় কোটিপতি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এক কোটি টাকার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ইতিমধ্যে তারা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা। তারা তাদের ওয়েবসাইটে ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ প্রতিযোগিতায় লিখেছে টেলিভিশন প্রতিযোগিতায় ১৫টি জটিল নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিজয়ী এক কোটি টাকা জিতে নিতে পারেন। মূলত টেলিভিশনে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও ওই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে এখনই চলছে প্রতিযোগিতা। ১০ই মে থেকে ১৭ই মে পর্যন্ত টানা সাতদিন সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে আগ্রহীদের। এ জন্য তাদেরকে কোন পুরস্কার দেয়া হবে না। উল্টো তাদের কাছ থেকে প্রতি এসএমএস-এর জন্য নেয়া হয়েছে প্রায় সাত টাকা করে। রবি গ্রাহকরা সাধারণত মাত্র পঁচিশ পয়সা খরচ করে এসএমএস পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ৭ টাকা ধরা হলো কোন যুক্তিতে? কোন কোন গ্রাহক একটি প্রশ্নের উত্তর একাধিকবার পাঠিয়েছেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি এসএমএস করতে হয়েছে। প্রশ্ন জানার জন্য একটি এসএমএস করতে হয়েছে। উত্তরের অপশন জানা না থাকলে এর জন্য এসএমএস করতে হয়েছে, উত্তর পাঠানোর জন্য একটি এসএমএস করতে হয়েছে। এক একজন গ্রাহক গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি করে এসএমএস পাঠিয়েছেন। কেউ কেউ পাঠিয়েছেন এর চেয়েও বেশি। রবি’র বর্তমানে গ্রাহক ১ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছে রবি কর্তৃপক্ষ। তবে তারা কোন সংখ্যা বলতে রাজি হননি। তারা বলতে রাজি হননি কোন টাকার অঙ্কও। এদিকে তারা না বললেও এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমন একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন, ১০ থেকে ১৭ই মে পর্যন্ত সাতদিনে প্রায় সাত লাখ গ্রাহক প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এক একজন গড়ে তিনটি করে এসএমএস করেছেন। কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি করেছেন। কারণ একাধিকবার উত্তর পাঠানোর সুযোগ ছিল- এ কারণে অনেকে প্রথমে ভুল উত্তর দিলেও পরে আবার সঠিক উত্তর দিয়েছেন। আবার অনেকে উত্তর না জানার কারণে একই প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিয়েছেন। এ কারণে অনেকে অনেক বেশি এসএমএস করেছেন। কোটিপতি হওয়ার প্রতিযোগিতায় এটি কোন পর্যায় নয় বলে উল্লেখ করেছেন রবি কর্তৃপক্ষ।
বলছেন, ১০ থেকে ১৭ই মে হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশন রাউন্ডেই সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। যারা সাতটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পেরেছেন তাদেরকে আরও একবার এসএমএস রাউন্ডে অংশ নিতে হবে। অংশ নিয়ে তারা দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হবেন। এরপর পাঁচটি অঞ্চলে তিনটি রাউন্ডে এই প্রতিযোগিতার সিলেকশন হবে। সেখান থেকে যারা উত্তর দিতে পারবেন তাদেরকে সরাসরি ডাকা হবে। সরাসরি সিলেকশন হওয়ার পর তারা আরও কয়েকবার বিভিন্ন রাউন্ডে অংশ নেবেন। এরপর শুরু হবে মূল প্রতিযোগিতা। টেলিভিশনে জুন মাসের শেষ নাগাদ এটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান রবি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কেটিং অপারেশন সানিয়া মাহমুদ। তিনি বলেন, এখন যেগুলো হচ্ছে এগুলো এসএমএস পর্ব। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জনের পর্ব। রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কেবল। এটা প্রথম পর্ব নয়। মূল প্রতিযোগিতা শুরু হবে আরও পরে।
প্রতিযোগিতায় টেলিভিশনে ১৫টি জটিল নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১ কোটি টাকা জিতে নেয়া যাবে বলে যে নোটিশ দেয়া হয়েছে এর সঙ্গে তো এর মিল নেই- অনেক ধাপ রাখা হয়েছে, এটা কি প্রতারণা নয়- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, মূল প্রতিযোগিতা শুরু হবে টেলিভিশনে। এই জন্য সেখানে যেতে হলে কয়েকটি ধাপ তো পার হতেই হবে। আমরা সেই সব ধাপ পার করেই প্রতিযোগীদের নিয়ে যাবো। বিটিআরসি’র লিগ্যাল ও লাইসেন্স বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রবি প্রতিযোগিতার জন্য যে ঘোষণা দিয়েছে এখন এসএমএস-এর মাধ্যমে তারা প্রতিযোগী নির্বাচন করছে। তারা এমন সব প্রশ্ন করছে যেগুলো সিলি প্রশ্ন। কোটি টাকার একটি প্রতিযোগিতার এ ধরনের প্রশ্ন আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তারা বেশি সংখ্যক গ্রাহকদেরকে অংশগ্রহণ করানোর জন্য বেশি টাকা আয় করার জন্য এমন প্রশ্ন করেছে। তাদের টার্গেট হচ্ছে- কম শিক্ষিতরাও যাতে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। ফলে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবে। তাদের প্রশ্ন দেখে মনে হয় তারা প্রতিযোগিতার মানের চেয়ে আয়ের দিকেই বেশি আগ্রহী। তবে তাদের উদ্দেশ্য তারা সফল করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার এ ধরনের প্রশ্ন না হয়ে উচ্চ মার্গের প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল। তাহলে প্রতিযোগিতার একটি মান থাকতো। তারা প্রশ্ন করেছেন এক টাকায় কত পয়সা, পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা, এক শত পয়সা, দুই শত পয়সা। এটা যে কেউ জানেন। এ ধরনের একটি প্রশ্ন কেমন করে কোটি টাকার প্রতিযোগিতায় আসে তা বুঝতে বাকি থাকে না। আসলে টাকা আয় করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। এদিকে দেশে কোন এসএমএস-এর চার্জ ছয় টাকা সাধারণ রেট ভ্যাটসহ সাত টাকা নেই। তারপরও রবি কোটিপতি হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা, প্রশ্ন জানা, প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ অন্যান্য যে কোন ধরনের তথ্য জানার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে সাত টাকা করে প্রতি এসএমএস আদায় করেছে। এখান থেকে সরকারকে কত টাকা রাজস্ব দেয়া হবে জানতে চাইলে সানিয়া মাহমুদ বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। এটা গোপনীয়। এটা বিটিআরসিকে জিজ্ঞেস করেন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সরকারের ঘরে রাজস্ব জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি কোন কথা বলতে পারবো না। কত টাকা আয় করেছেন জানতে চাইলে বলেন, এটাও গোপনীয়। এটা বলার মতো বিষয় নয়। কত গ্রাহক অংশ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাহলে তো টাকার অঙ্ক পেয়েই যাবেন। তা জানলে সমস্যা কোথায়- জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা বলতে পারবো না। এটুকু জেনে রাখেন আমরা ভীষণ ভাল সাড়া পেয়েছি। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি না হলেও কাছাকাছি। তিনি বলেন, কেবল শুরু হলো। এটা দিন যত যাবে তত বাড়বে। সূত্র জানায়, এক কোটি টাকার পুরস্কারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে গিয়ে কেবল রেজিস্ট্রেশন রাউন্ডে সাতদিনেই রবি আয় করেছে ১০ কোটি টাকার বেশি। অথচ তারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে এক কোটি টাকার। প্রতিযোগিতায় একজনকে এক কোটি টাকা দেয়া হবে নাকি একাধিক জনকে দেয়া হবে জানতে চাইলে রবি’র কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মহিউদ্দিন বাবর বলেন, একজনকে এক কোটি টাকা দেয়া হবে। একাধিক জনকে দিলে তো আর প্রতিযোগিতা হলো না। তিনি বলেন, এ খাত থেকে যা আয় হবে তা কোম্পানির উন্নয়ন ও নেটওয়ার্ক সমপ্রসারণসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া, প্রতিযোগিতার খরচের একটি অংশ ব্যবহার করা হবে। সানিয়া মাহমুদ বলেন, টেলিভিশনে যখন প্রতিযোগিতা শুরু হবে তখনই ধরে নেয়া হবে কোটি টাকার প্রতিযোগিতা ও মূল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ধাপ পার হতে হবে।
আয়োজকদের একজন জানান, এবার প্রথমবারের মতো রেজিস্ট্রেশন হয়েছে আবারও সাতদিন মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এতে নতুন করে আরও অনেকে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন। এতে রবি তাদের টার্গেট পূরণ করতে পারবেন, আয় করতে পারবেন মোটা অঙ্কের টাকা। আমরা আরও বেশি সংখ্যক পার্টিসিপেশন চাইছি। বিটিআরসি’র সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতার ব্যাপারে রবি’র আরও স্বচ্ছ হওয়ার দরকার ছিল। তারা যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে এতে স্বচ্ছতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রবি যখন তাদের কত গ্রাহক ওই প্রতিযোগিতা রেজিস্ট্রেশন করেছে ও অংশ নিচ্ছে বলছে না তখন বোঝা যায় তারা এখনও একটা লুকোচুরি করছেন। কিন্তু এটা তাদের করা ঠিক হচ্ছে না। তাদেরকে স্বচ্ছ হতে হবে। তারা দ্বিতীয়বারও মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে আরও কোটি কোটি টাকা আয় করবেন।
বলছেন, ১০ থেকে ১৭ই মে হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশন রাউন্ডেই সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। যারা সাতটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পেরেছেন তাদেরকে আরও একবার এসএমএস রাউন্ডে অংশ নিতে হবে। অংশ নিয়ে তারা দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হবেন। এরপর পাঁচটি অঞ্চলে তিনটি রাউন্ডে এই প্রতিযোগিতার সিলেকশন হবে। সেখান থেকে যারা উত্তর দিতে পারবেন তাদেরকে সরাসরি ডাকা হবে। সরাসরি সিলেকশন হওয়ার পর তারা আরও কয়েকবার বিভিন্ন রাউন্ডে অংশ নেবেন। এরপর শুরু হবে মূল প্রতিযোগিতা। টেলিভিশনে জুন মাসের শেষ নাগাদ এটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান রবি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কেটিং অপারেশন সানিয়া মাহমুদ। তিনি বলেন, এখন যেগুলো হচ্ছে এগুলো এসএমএস পর্ব। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জনের পর্ব। রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কেবল। এটা প্রথম পর্ব নয়। মূল প্রতিযোগিতা শুরু হবে আরও পরে।
প্রতিযোগিতায় টেলিভিশনে ১৫টি জটিল নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১ কোটি টাকা জিতে নেয়া যাবে বলে যে নোটিশ দেয়া হয়েছে এর সঙ্গে তো এর মিল নেই- অনেক ধাপ রাখা হয়েছে, এটা কি প্রতারণা নয়- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, মূল প্রতিযোগিতা শুরু হবে টেলিভিশনে। এই জন্য সেখানে যেতে হলে কয়েকটি ধাপ তো পার হতেই হবে। আমরা সেই সব ধাপ পার করেই প্রতিযোগীদের নিয়ে যাবো। বিটিআরসি’র লিগ্যাল ও লাইসেন্স বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রবি প্রতিযোগিতার জন্য যে ঘোষণা দিয়েছে এখন এসএমএস-এর মাধ্যমে তারা প্রতিযোগী নির্বাচন করছে। তারা এমন সব প্রশ্ন করছে যেগুলো সিলি প্রশ্ন। কোটি টাকার একটি প্রতিযোগিতার এ ধরনের প্রশ্ন আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তারা বেশি সংখ্যক গ্রাহকদেরকে অংশগ্রহণ করানোর জন্য বেশি টাকা আয় করার জন্য এমন প্রশ্ন করেছে। তাদের টার্গেট হচ্ছে- কম শিক্ষিতরাও যাতে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। ফলে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবে। তাদের প্রশ্ন দেখে মনে হয় তারা প্রতিযোগিতার মানের চেয়ে আয়ের দিকেই বেশি আগ্রহী। তবে তাদের উদ্দেশ্য তারা সফল করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার এ ধরনের প্রশ্ন না হয়ে উচ্চ মার্গের প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল। তাহলে প্রতিযোগিতার একটি মান থাকতো। তারা প্রশ্ন করেছেন এক টাকায় কত পয়সা, পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা, এক শত পয়সা, দুই শত পয়সা। এটা যে কেউ জানেন। এ ধরনের একটি প্রশ্ন কেমন করে কোটি টাকার প্রতিযোগিতায় আসে তা বুঝতে বাকি থাকে না। আসলে টাকা আয় করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। এদিকে দেশে কোন এসএমএস-এর চার্জ ছয় টাকা সাধারণ রেট ভ্যাটসহ সাত টাকা নেই। তারপরও রবি কোটিপতি হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা, প্রশ্ন জানা, প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ অন্যান্য যে কোন ধরনের তথ্য জানার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে সাত টাকা করে প্রতি এসএমএস আদায় করেছে। এখান থেকে সরকারকে কত টাকা রাজস্ব দেয়া হবে জানতে চাইলে সানিয়া মাহমুদ বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। এটা গোপনীয়। এটা বিটিআরসিকে জিজ্ঞেস করেন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সরকারের ঘরে রাজস্ব জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি কোন কথা বলতে পারবো না। কত টাকা আয় করেছেন জানতে চাইলে বলেন, এটাও গোপনীয়। এটা বলার মতো বিষয় নয়। কত গ্রাহক অংশ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাহলে তো টাকার অঙ্ক পেয়েই যাবেন। তা জানলে সমস্যা কোথায়- জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা বলতে পারবো না। এটুকু জেনে রাখেন আমরা ভীষণ ভাল সাড়া পেয়েছি। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি না হলেও কাছাকাছি। তিনি বলেন, কেবল শুরু হলো। এটা দিন যত যাবে তত বাড়বে। সূত্র জানায়, এক কোটি টাকার পুরস্কারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে গিয়ে কেবল রেজিস্ট্রেশন রাউন্ডে সাতদিনেই রবি আয় করেছে ১০ কোটি টাকার বেশি। অথচ তারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে এক কোটি টাকার। প্রতিযোগিতায় একজনকে এক কোটি টাকা দেয়া হবে নাকি একাধিক জনকে দেয়া হবে জানতে চাইলে রবি’র কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মহিউদ্দিন বাবর বলেন, একজনকে এক কোটি টাকা দেয়া হবে। একাধিক জনকে দিলে তো আর প্রতিযোগিতা হলো না। তিনি বলেন, এ খাত থেকে যা আয় হবে তা কোম্পানির উন্নয়ন ও নেটওয়ার্ক সমপ্রসারণসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া, প্রতিযোগিতার খরচের একটি অংশ ব্যবহার করা হবে। সানিয়া মাহমুদ বলেন, টেলিভিশনে যখন প্রতিযোগিতা শুরু হবে তখনই ধরে নেয়া হবে কোটি টাকার প্রতিযোগিতা ও মূল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ধাপ পার হতে হবে।
আয়োজকদের একজন জানান, এবার প্রথমবারের মতো রেজিস্ট্রেশন হয়েছে আবারও সাতদিন মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এতে নতুন করে আরও অনেকে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন। এতে রবি তাদের টার্গেট পূরণ করতে পারবেন, আয় করতে পারবেন মোটা অঙ্কের টাকা। আমরা আরও বেশি সংখ্যক পার্টিসিপেশন চাইছি। বিটিআরসি’র সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতার ব্যাপারে রবি’র আরও স্বচ্ছ হওয়ার দরকার ছিল। তারা যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে এতে স্বচ্ছতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রবি যখন তাদের কত গ্রাহক ওই প্রতিযোগিতা রেজিস্ট্রেশন করেছে ও অংশ নিচ্ছে বলছে না তখন বোঝা যায় তারা এখনও একটা লুকোচুরি করছেন। কিন্তু এটা তাদের করা ঠিক হচ্ছে না। তাদেরকে স্বচ্ছ হতে হবে। তারা দ্বিতীয়বারও মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে আরও কোটি কোটি টাকা আয় করবেন।
রবি মোবাইল কোম্পানি হিসেবে প্রথম সারিতে কখনওই ছিল না। আগে এর নাম একটেল ছিল। গত বছর এটি রবি নাম ধারণ করে। এরপর তারা নানাভাবে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্ক প্রসার ও গ্রাহক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা দেশ টিভির সঙ্গে মিলে ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ হওয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন। এতে তারা তাদের গ্রাহক বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। আয়ও বাড়ছে। তাদের কোটিপতি হওয়ার প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়ার পর অনেকেই রবি’র সিম কিনেছেন এবং সেখানে অংশ নিচ্ছেন। এতে তাদের গ্রাহক বাড়ছে। এ ব্যাপারে সানিয়া মাহমুদ বলেন, অন্যান্য দেশের বড় বড় কোটিপতি হওয়ার প্রতিযোগিতাগুলো আমাদের মতো করেই হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রবি’র প্রচার ও প্রসার হবে এটা মানতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহক বাড়তে পারে। নতুন করে কত গ্রাহক বেড়েছে প্রতিদিন এটা বলতে রাজি হননি। বলেন, কত টাকা এ খাত থেকে আয় করেছি এটা গোপনীয়। এটা বলা যাবে না। আর আমাদের গ্রাহক প্রতিযোগিতার জন্য কত বাড়ছে তা-ও বলা যাবে না। এগুলো কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এদিকে রবি’র সাধারণ এসএমএস-এর রেট ৪৮ পয়সা। প্রতিযোগিতায় তা নেয়া হচ্ছে ভ্যাট ছাড়া ছয় টাকা। ভ্যাটসহ সাত টাকা। এটি প্রায় ১৪ গুণ বেশি। এটা কেন- এ প্রসঙ্গে সানিয়া মাহমুদ বলেন, এটা কোটি টাকার প্রতিযোগিতা- এটা তো বুঝতে হবে। এই জন্য রেট বেশি। এদিকে বিটিআরসি যেখানে মোবাইল ফোনের কল রেট ও এসএমএস রেট বেঁধে দিয়েছে সেখানে একটি প্রতিযোগিতার জন্য ১৪ গুণ বেশি মূল্যে এসএমএস রেট কেমন করে নির্ধারণ করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিটিআরসি কেমন করে সাত টাকা রেট অনুমোদন করে একটি এসএমএস-এর জন্য তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, রবি আমাদের কথা বললেও আমরা মূলত ছয় টাকা করে এসএমএস-এর রেট নির্ধারণ করিনি। এটি নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। এখন বিটিআরসি কোন ট্যারিফ নির্ধারণ করে না। সরকার নির্ধারণ করে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ট্যারিফ নির্ধারণের পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সেটি অনুমোদন করিয়ে এনেছে। অনুমোদন করানোর পর আমাদের কাছে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বিষয়ে আমরা কোন কিছু বলতে পারি না। বাতিলও করতে পারি না। তবে ভ্যাটসহ ছয় টাকা ৯০ পয়সা এসএমএস ফি নির্ধারণ করাটা মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। এটা কোনভাবেই ঠিক নয়। সানিয়া মাহমুদ দাবি করেন, বিটিআরসি আমাদের এই প্রতিযোগিতার এসএমএস-এর রেট অনুমোদন করেছে বলেই আমরা সাত টাকা করে নিতে পেরেছি। তা না হলে পারতাম না। তিনি বলেন, বিটিআরসি আমাদের এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। এদিকে বিটিআরসি’র একজন পরিচালক বলেন, এই সময়ে একটি প্রতিযোগিতার জন্য এসএমএস চার্জ সাত টাকা বেশি বৈকি। এটা গ্রাহকদের দিতে কষ্ট হবে। কারণ, যারা অংশ নিচ্ছেন তারা জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা খরচ করেছেন। এতে ইতিমধ্যে দশ কোটি টাকার বেশি রবি’র আয় হওয়ার কথা। তিনি বলেন, তারা গ্রাহকদের কোটি টাকার প্রতিযোগিতার জন্য যে সব ধাপ পার করাচ্ছে এটা মনে হয় এমনভাবে না করে আরও স্বচ্ছ ও ভালভাবে করা যেতে পারে। কিন্তু তারা টেলিভিশন প্রতিযোগিতা শুরুর আগে নানা ধাপ পার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করেছে। এছাড়াও এটা মনোপলি করা হয়েছে কেবল রবি গ্রাহকরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে বলে। যে কোন মোবাইল গ্রাহক হলে হবে না। এতে বোঝা যায় রবি তাদের সিম বিক্রি বাড়াতে চেয়েছে এবং টাকার পুরো অংশ যাতে তারা পায় সেই কৌশল অবলম্বন করেছে। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা প্রথম আয়োজিত হচ্ছে এ জন্য সবদিকগুলো আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এরপর অনুমোদন দিলে ভাল হতো। বিটিআরসি জানায়, এসএমএস পর্ব এখানেই শেষ নয়। এ অনুষ্ঠানটি এক বছর ধরে চলবে। এক বছরে তারা দশটি অনুষ্ঠান করবে। ১০টি অনুষ্ঠানের জন্য তারা এসএমএস করবে। এতে তাদের আরও অনেক বেশি আয় হবে। তিনি বলেন, তারা এসএমএস-এর রেট প্রায় সাত টাকা নিচ্ছে এটা তারা অনেকটাই গোপন করছে। এটা তাদের টেলিভিশনে বলে দেয়া উচিত। মানুষ না জেনে ৫০ পয়সা মনে করে এসএমএস করে প্রতারিত হচ্ছে। (সূত্র: মানবজমিন) বিস্তারিত: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=9653:2011-05-18-16-48-35&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82