১৭ জুন, ২০১১

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সারাদেশে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাত নয়টার কিছু পরে গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত উপকূল এলাকার রায়মঙ্গল নদী এলাকা দিয়ে মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত আবহাওয়াবিদ এস এম মাহমুদুল হক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুটায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। নিম্নচাপ মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করা সংক্রান্ত একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও রাজধানীর আবহাওয়া অফিস মধ্যরাতের পর প্রচার করে। মাহমুদুল হক জানান, বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় নিম্নচাপটি রায়মঙ্গল নদী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে গাঙ্গেয়-পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করে। আবহাওয়াবিদ জানান, গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে প্রবেশের পর আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে সমুদ্রবন্দর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়োহাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। সেইসঙ্গে সাগর উত্তাল থাকবে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।  মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, চাঁদপুর, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। নিম্নচাপটি বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। সেসময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।