প্রায় বছর দশেক আগে আফগানিস্তানে তালেবানরা ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে বামিয়ান প্রদেশের অতুলনীয় দুটি বুদ্ধমূর্তি ধ্বংশ করে ফেলে। মূর্তি দুটি বামিয়ান উপত্যকার পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা ছিল। এর একটির উচ্চতা ছিল ১৮০ ফুটের কাছাকাছি এবং অন্যটির উচ্চতা ছিল ১২০ ফুট। ধারণা করা হয়, ষষ্ঠ শতাব্দীর সময় থেকেই বামিয়ান উপত্যকায় এই দুই বুদ্ধমূর্তি ছিল। ২০০১ সালে তালেবানরা গোলা, স্থলমাইন এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে বুদ্ধমূর্তি দুটি ধ্বংস করে ফেলে। তবে ধ্বংশের প্রায় ১০ বছর পর আবার সেই আগের মতোই তৈরী করা হচ্ছে জোড়া বুদ্ধমুর্তি। জার্মান শিল্পী ইতিহাসবিদ এবং স্থাপত্যবিদ বার্ট প্রাক্সেন্থলার আট বছর ধরে এই জোড়া বুদ্ধমূর্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এবং তার কর্মীরা এ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০০ টন ইট পাথরের টুকরো এবং ভাস্কর্য দুটোর শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করেছেন। এথেন্সের সেই পার্থেনন মন্দির যেভাবে নির্মিত হয়েছিল এটাও অনেকটা সেই পদ্ধতিতে নবনির্মিত হচ্ছে। ভাস্কর্যের মূল অংশের সঙ্গে আধুনিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি হবে নতুন জোড়া বুদ্ধমূর্তি। এক সময় জোড়া বুদ্ধমূর্তির জন্য এই অঞ্চলে পর্যটকরা ভিড় করতেন আফগানিস্তানের্ ওই অঞ্চলে । অব্যাহতভাবে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ আর সহিংসতা চলছে। যুদ্ধবিগ্রহের কারণে পর্যটকরা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। আবার পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই জোড়া বুদ্ধমূর্তি পুনর্নির্মাণ করার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। (সূত্র: অনলাইন)