১৭ আগস্ট, ২০১১

কবি শামসুর রাহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আধুনিক বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ, এদেশের কবিদের কবি শামসুর রাহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট কবি শামসুর রাহমান সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবির জন্মস্থান নরসিংদী জেলার রায়পুরায় পাড়াতলী গ্রামে। অসামপ্রদায়িক চেতনার কবি ১৯৫০-এর দশকে তার কাব্যচর্চা শুরু করেন। কবি শামসুর রাহমান নাগরিক চেতনার কবি। তিনি তার লেখনীতে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। দেশ প্রেমের কবিতায় তিনি অনন্য মাত্রা যুক্ত করেছিলেন। দেশাত্ববোধের কবিতার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো আসাদের শার্ট, স্বাধীনতা তুমি, তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা। পেশা জীবন শুরু করেন কবি সাংবাদিকতার মাধ্যমে। ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি দৈনিক মর্নিং নিউজে। এ সময়ে তিনি রেডিও পাকিস্তানের প্রযোজক ছিলেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মর্নিং নিউজে। ১৯৬৪ থেকে শুরু করে সরকারি দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। পরবর্তিতে এই পত্রিকার নাম দৈনিক বাংলায় রুপান্তর করা হয়। এর পরে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। ১৯৬০ সালে শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে' প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্ল্লেখযোগ্য রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, বন্দি শিবির থেকে, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ প্রভৃতি। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ও শিশুতোষ মিলে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। আর কবিতার সংখ্যা সহস্রাধিক। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কার, পদাবলী পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। (সূত্র: অনলাইন)