২৯ অক্টোবর, ২০১১

রাজকীয় মধুচন্দ্রিমা

রাজকীয় মধুচন্দ্রিমায় ভূটানের রাজা জিগমে খেসর নামগায়াল ওয়াংচুক ও রানি জেতসুন প্রেমা ওয়াংচুক। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে তারা দু'জনই এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যোধা আকবরের প্রেমের পটভূমিতে মধুচন্দ্রিমার রাত কাটিয়ে রাজা-রানি শুক্রবার সন্ধ্যায় গোলাপি শহর জয়পুর ছেড়ে  চলে যান যোধপুরে। শনিবার নবদম্পত্তি সারাদিন ঘুরে-ফিরে দেখছেন কেলানা হ্রদ, মেহরানগড় কেল্লা আর ইতিহাসসমৃদ্ধ যশোবন্ত থাডা। তবে মধুচন্দ্রিমায় তারা যেন স্বস্তিতে নেই, যেখানেই তারা যাচ্ছেন তাদের এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শীর্ষ পর্যায় থেকে সাধারণ মানুষ। তাদের দেখে কে বলবে এরা রাজা-রানি? পরনে একবারে সাধারণের পোশাক। শুধু পোশাকই নয়- হাঁটাচলায়, ব্যবহারে কোন রাজকীয়তার লেশমাত্র নেই তাদের। রাজা-রানির মধুচন্দ্রিমার ৫দিনের ম্যারাথন শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের মরু অথচ গোলাপি শহর জয়পুর থেকে। দিল্লি থেকে জয়পুর যেতে পথের দু’পাশের মনোরম দৃশ্যাবলী দেখার জন্য উদগ্রীব রাজদম্পত্তি। আর সেজন্য ব্যবস্থা হয় বাতানুকুল ট্রেনের। অবশ্যই বিলাসবহুল ট্রেনে বসে রাজা-রানি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কয়েকঘণ্টা কাটিয়ে দেন। বিকেলে গিয়ে পৌঁছান জয়পুরে। তাদের জয়পুরের গান্ধীনগর স্টেশনে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন শহরের মেয়র জ্যোতি খান্ডেলওয়াল এবং রাজ্যসভার শিল্পমন্ত্রী রাজেন্দ্র পারীক। যোধপুরে মধুচন্দ্রিমা সেরে রোববার তরুণ রাজদম্পত্তি যাবেন ইতিহাসের আরেক শহর উদয়পুরে। মধুচন্দ্রিমা সেরে রাজা-রানি ৩১ অক্টোবর দিল্লি ফেরার কথা রয়েছে।