২ নভেম্বর, ২০১১

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলন হবে ঢাকায়

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম নামের এই সংস্থাটি থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে দাবি তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনটি করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকার থেকে বলা হচ্ছে। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে উন্নত দেশগুলো থেকে তহবিল সংগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশের খাপ খাইয়ে নেয়া এবং অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে জানানো হয়, ১৩ থেকে ১৪ই নভেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একসাথে কাজ করার উদ্দেশ্যেই এই ফোরামটি এই সম্মেলন করছে। "আমরা যেনো একই স্বরে আমাদের দাবি এবং আশংকাগুলো তুলে ধরতে পারি সেই লক্ষ্যেই এই ফোরাম কাজ করে যাচ্ছে‘‘, দিপু মনি বলেন এবছরের ২৮শে নভেম্বর থেকে ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ১৭তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলনকে সামনে রেখেই ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর এই ফোরামটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেটায় ৩২ টি দেশ অংশ নেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি। পাশাপাশি এ সম্মেলনটির জন্য ২৮ টি দেশকে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। সম্মেলনটিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও উপস্থিত থাকবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া, এটি হ্রাস করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা এই ফোরামের উদ্দেশ্য। "বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সম্মিলিত স্বরে যেনো আমরা আদায় করতে পারি, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য‘‘, মিঃ মাহমুদ বলেন দিপু মনি জলবায়ু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা শরণার্থী হয়ে পড়ছেন, তাদের অভিবাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চাপ প্রয়োগের দিকে গুরুত্ব দেন। "জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী গৃহহীন হয়ে পড়ছে, সেকারণে আমরা অভিবাসনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্মেলনে এই বিষয়টি তুলে ধরছি‘‘, তিনি বলেন।