১ ডিসেম্বর, ২০১১

বিশ্ব এইডস দিবস

আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘গেটিং টু জিরো’ অর্থাৎ নতুন এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস রোগীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং এইডস সম্পৃক্ত মৃত্যু, এই তিনটি বিষয়ই শূন্যে নামিয়ে আনা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি গঠনের পর থেকেই ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির মধ্য দিয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এইডসের প্রতীক হিসেবে নির্ধারণ করা হয় লালফিতা বা রেডরিবন। লালফিতার মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতাসহ প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রতি বছরই প্রায় ২৭ লাখ মানুষ এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে। ইউএন এইডসের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে আনুমানিক ১১ হাজার।  ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮ জন এইচআইভি পজিটিভ এবং ৮৫০ জন এইডস রোগী পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ২৪১ জন রোগী এইডসে মারা যায়।  এইচআইভি সনাক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, একজন ব্যক্তি এইচআইভি আক্রান্ত কী না তা জানার একমাত্র উপায় হলো তার রক্ত পরীক্ষা করা। এইচআইভিতে আক্রান্ত হলেও একজন ব্যক্তি বহুদিন সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকে এবং নিয়মিত কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন। এইচআইভি সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এভাবে পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ নিজের অজান্তে এইচআইভি জীবাণু বহন করছে এবং অন্যের শরীরে এইচআইভি ছড়াচ্ছে। এইচআইভি চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় তত ভালো। দেরি করে চিকিৎসা শুরু করলে সেই চিকিৎসা কার্যকর হয় না। এ জন্য রক্ত পরীক্ষা করে দ্রুত এইচআইভি নির্ণয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তি, ধনী বা গরীব, বিবাহিত বা অবিবাহিত যে কেউ এইচআইভিতে আক্রান্ত হতে পারেন। কেউ যদি সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার না করে অনেকের সাথে যৌন মিলন করে থাকেন, অন্যের ব্যবহৃত সূঁচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করে থাকেন অথবা এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়নি এমন রক্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তার এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া এইচআইভিতে আক্রান্ত মা থেকে তার সন্তানের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে দ্রুত এইচআইভি পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, সাধারণ মেলামেশা (হাত মেলানো, কোলাকুলি করা, স্পর্শ করা বা চুমু দেওয়া) করলে এইডস ছড়ায় না।