১৯ জানুয়ারী, ২০১২

বিএসএফের উলঙ্গ অত্যাচার

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ঘটনাটি ঘটে কয়েক সপ্তাহ আগে৻ কিন্তু মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওটি আজ ভারতের কয়েকটি জাতীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়৻ বিএসএফের কর্মকর্তারা গোটা ঘটনাটিকে অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন, এবং এর দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর সাজা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৻ ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিএসএফের কয়েকজন জওয়ান সন্দেহভাজন একজন গরু চোরাকারবারিকে প্রথমে আটক করে ঘুষ চায় ও পরে তাকে বিবস্ত্র করে তার ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়৻ তবে অত্যাচারিত ওই ব্যক্তির পরিচয় সম্বন্ধে কিছু জানা যায়নি, তিনি ভারত না বাংলাদেশ কোন দেশের নাগরিক সেটাও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না৻ ভিডিওতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা চরম অমানবিক এবং আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বা বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। অবশ্য স্থানীয় সূত্রগুলি বলছে, ধৃত ওই ব্যক্তি সম্ভবত বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা , যার বয়স আনুমানিক ২২ বছর৻ কিন্তু ধৃত ব্যক্তি পুলিশ বা বি এস এফের হেপাজতে না থাকায় তাঁকে এখনও চিহ্নিত করা যায় নি৻ ওই অত্যাচারের ঘটনা যে মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছিল, বিএসএফেরই এক সদস্য সেটি একটি দোকানে মেরামত করার জন্য দিয়েছিলেন৻ ওই মোবাইল সারানোর দোকান থেকেই ভিডিওটি ফাঁস হয়ে যায় ও সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে আসে বলে জানা গেছে৻ প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ৯ই ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় চরমৌরসি সীমান্ত চৌকিতে প্রহরারত আটজন বি এস এফ সদস্য জড়িত ছিলেন৻ তাদের চিহ্নিত করা গেছে এবং সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে৻ বিশদ তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে – যেটা একজন কমান্ডান্ট ৠাঙ্কের অফিসার পরিচালনা করবেন৻ তবে সেই তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কী শাস্তি হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়, বিবিসিকে জানিয়েছেন বি এস এফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আই জি রভি পোনোঠ৻