আমাদের কথা

আমাদের কথা বলে কোনও কথা নেই আমাদের এই পৃথিবীতে আসার পূর্বেই অনেক জ্ঞানী-গুনী, রথী-মহারথী, ঋষি-মনীষি, সাধক-ফকির-গবেষক-বিজ্ঞণী-বাউল-নবী-গাউস-কুতুব-অলি-আওলিয়া সর্বস্তরের সাধারণ-অসাধারণ মানুষ অনেক কথা বলে গেছেন, এখন সে সকল কথা বুঝতেই সময় পার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।  
অথবা যে পদধূলির আশায় ঘুড়ে বেড়ায় মানুষ তীর্থস্থানে, (নেহায়েত ইচ্ছা থাকলেও সামান্য অর্থাভাবে তীর্থস্থান ঘুড়ে দেখার পরিবর্তে তীর্থস্থান বসিয়ে নিয়েছি নিজের মতো করে) তবুও ধর্মান্ধদের অন্ধকারটা দেখতে ইচ্ছা করেকতটা অন্ধ হলে মানুষ ভেঙে ফেলে মসজিদ-মন্দির, অথবা রক্তাক্ত হতে পারে মাটি। সুখ-দুখ-ভালো-মন্দ-পাপ-পূন্য-গুনাহ-নেকী-শয়তান-শূন্য-মহাশূন্য- দেখা হয়নি আরো এমন অনেক শব্দ প্রচলিত। তবুও এক প্রচন্ড বেচে থাকার আকুতিতে জেগে থাকা। খন্ড খন্ড সাদাকাপড়ের ভিতর দিয়ে স্বপ্নের যাতায়াত দেখি। অথচ প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে কথা বলা আছে আদম সৃষ্টি থেকে হাওয়া-বাতাস-গন্ধম-শিল্প-সংসার-ধর্ম-কর্ম-ঈশ্বর-স্বর্গ-নরক-জন্ম-মৃত্যুর পরের গল্পও-আছে। আছে চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-নক্ষত্র-নদী-সাগর-হংস-হংসীর-দেহভেদাভেদের কথা। তারপরেও কি কি কথা থাকতে পারে, কেন থাকতে পারে? কিসের কথা থাকতে পারে? ধর্মে-কর্মে। তবুও প্রতিটা ধর্মগ্রন্থে নাকি ঈশ্বর লুকিয়ে থাকে। তরপরেও তিনি সর্বত্র বিরাজমান। আর ঘটনা ঘটার মাধ্যমে সময় বিভক্তির বিষয়টা ঐতিহাসিক অথবা ভূত-ভবিষ্যত হয়ে দাড়িয়ে আছে। তার পরেই মৃত্যুর অজস্র অগনন গল্প আছে। তবুও অস্থির ভিটেমাটি-অস্থির পৃথিবীতে স্থীর সংসারের গল্প আছে। তারপরেওকি কথা আছে? তারপরেও কথা আছে, অসংখ্য কথা আছে, সাম্প্রদায়িক কথা আছে-অসাম্প্রদায়িকতারও কথা, পথচলার কথা, বিশ্বভ্রক্ষ্মন্ডের কথা, চৈনিক সভ্যতা-অসভ্যতার কথা, তারও আগের কথা, রূপকথার কথা, গুহায় বসে আগুন উৎপাদনের কথা, পানির সন্ধানের গল্পগুজবের কথা আছে। আছে সৃষ্টি-বৃষ্টি রহস্যের কথা, নারী-নক্ষত্রের কথা।(চলবে)